আন্তর্জাতিক 

Elon Musk: ৪,৪০০ কোটি ডলার দিয়ে টুইটার কিনে নিলেন ইলন মাস্ক, মাস্কের টুইটারে নতুন কী কী ? জানতে হলে ক্লিক করুন

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : শেষ পর্যন্ত জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইটার বিক্রি হয়ে গেল। প্রায় ৪,৪০০ কোটি ডলার, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩,৩৬, ৯৪১ কোটি ২২ লাখ টাকায় টুইটার কিনে নিলেন ইলন মাস্ক। এ বার পালা মাস্কের হাতে পুরনো নিয়ম কানুন বদলের। সবাইকে চমকে দিয়ে টুইটার কিনে ফেলার পর বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের মাস্কের এই মাইক্রো ব্লগিং সাইটটি নিয়ে রয়েছে বিস্তর পরিকল্পনাও। যা আপাতত রয়েছে মস্তিষ্কের সুরক্ষিত কুঠুরিতে। কিন্তু কিছু কিছু বদল যে অবধারিত, তা ইতিমধ্যেই জানা যাচ্ছে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক কী সেই বদল, মাস্কের দাবি অনুযায়ী, যা বদলে দেবে ব্যবহারকারীর টুইটারের প্রতি চিরাচরিত দৃষ্টিভঙ্গি।

সবার জন্য ‘ব্লু-টিক’ : প্রতিটি টুইটার ব্যবহারকারীই মাস্কের আমলে যাচাই করা অ্যাকাউন্টের অধিকারী হতে চলেছেন। মাস্ক মনে করেন, প্রতিটি অ্যাকাউন্ট যাচাই করা উচিত। কিছু যাচাই করা, আর কিছু সাধারণ— এ ভাবে স্বচ্ছতা বজায় রাখা অসম্ভব। তাই প্রতিটি টুইটার ব্যবহারকারী পাবেন ‘ব্লু-টিক’ তকমা।

Advertisement

অবাধ মত বিনিময় : পক্ষে কিংবা বিপক্ষে মন্তব্য যাই হোক, আইনের গণ্ডিতে না ঠেকলে তা প্রকাশ করবে টুইটার। ভাল-মন্দ বিবেচনার ভার ব্যবহারকারীর। কারণ, টুইটার কোনও নির্দিষ্ট টুইট নিষিদ্ধ করার নীতি নিয়ে জনমানসে বহুল অসন্তোষ রয়েছে। তাই এ জন্য প্রতিটি ব্যবহারকারী যাতে অবাধে নিজের মত জানাতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে চান মাস্ক। তাঁর ঘোষণা, আইন বিরুদ্ধ কিছু ছাড়া, বাকি সবই শোভা পাবে টুইটারে। তা সে পক্ষে হোক কিংবা বিপক্ষে।

ভুয়ো অ্যাকাউন্টে ইতি : ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে জনমত নিয়ন্ত্রণের দিন শেষ। এ জন্য ব্যবহার করা হবে আরও আধুনিক এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তি। মাস্কের বক্তব্য, বিশেষ কোনও মতবাদ ছড়িয়ে দিতে বা নির্দিষ্ট কোনও দিকে জনমত ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় ইদানীং ‘বট্ অ্যাকাউন্ট’ তৈরির চল রয়েছে। তাতে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর করা একটি টুইটই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বহু মানুষের নামের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিফলিত হয়। আপাতদৃষ্টিতে যা দেখে মনে হয়, বহু মানুষ একই মত পোষণ করছেন। মাস্কের আমলে ইতি পড়তে চলেছে সেই চালাকির। তবে প্রশ্ন হল, কৃত্রিম ভাবে নিয়ন্ত্রিত ভুয়ো অ্যাকাউন্ট আর সত্যি অ্যাকাউন্ট, যেগুলো সাধারণত ‘বট্ অ্যাকাউন্ট’-এর মতোই ব্যবহার করেন ব্যবহারকারীরা, তার পার্থক্য ধরা যাবে কী করে?

পরিচ্ছন্ন ব্যবস্থাপনা : থাকবে না জটিলতার নামগন্ধ। কোন টুইট কতটা বেশি পরিমাণে ছড়াবে, স্থির হবে ঘোষিত ‘অ্যালগরিদম’-এর সাহায্যে। সূত্রে ফেলে মিলিয়ে নিতে পারবেন যে কেউ। এর ফলে কোনও টুইট কত মানুষের টুইটার হ্যান্ডলে প্রতিফলিত হবে, সে জন্য অজানা কোনও ব্যবস্থার উপর নির্ভর করতে হবে না ব্যবহারকারীদের। স্বচ্ছ পদ্ধতির সাহায্যে যে কোনও সময় মিলিয়ে নেওয়া যাবে, কোন টুইটের দৌড় কত দূর।

সৌজন্যে ডিজিটাল  আনন্দবাজার।

 

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ